বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ইটভাটার মাটির টলির দাপটে পথচারীরা পড়েছে বিপাকে। প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারী ও রাস্তার আশপাশের বসতিদের। এদিকে ফসলী জমি কাটা সরকারী নিষেধ থাকা সত্বেও সে নিষেধ মানছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মোহনপুর এলাকায় ১২০ শতক ফসলী জমি থেকে মাটি ব্যবসায়ী সাতৈর গ্রামের মো. জামাল হোসেন মাটি কেটে সাতৈর জয়নগর অবস্থিত অটো বিক্স ইটভাটায় নিচ্ছেন। ওই মাটি টলিতে করে নেওয়ার কারনে রাস্তার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজনের ধুলার কারনে বসত করতে কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীন ছোট ছোট রাস্তা। উপজেলা প্রশাসন এই সকল মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না।
সাতৈর এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, টলি করে ইটভাটায় মাটি নেওয়ার কারনে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে চরম কষ্ট হয়। এছাড়া রাস্তার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন চরম বিপাকে পড়েছে। ঘরবাড়ি ধুলায় ঢেকে গেছে।
মাটি ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেনকে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে মাটি কাটার কোন অনুমতি এনে মাটি কাটা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
সাতৈর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহসীলদার মো. ফরিদ হোসেন বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি জানতে পেরেছ মাটি ব্যবসায়ী জামালকে তার মুঠোফোনে অনেকবার কল দিলেও সে রিসিফ করেননি। জামালের বাবা মান্দার মেম্বরকে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধ করলেও সে নিষেধ মানছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, যারা আইন না মেনে মাটি কাটছে সে সকল মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।